Monday 15 June 2015

জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: প্রশ্ন উঠছে বিএনপির ভেতরেই

  
 মায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে
বাংলাদেশে বৃহত্তম বিরোধীদল বিএনপির নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের দলের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে দেশের ভিতরে-বাইরে বিরূপ মনোভাবের প্রেক্ষাপটে দলের ভেতরেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে গত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ভোটের হিসেবনিকেশের কারণে জামায়াতের সাথে এখনও ঐক্য রাখার পক্ষে বলেই বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন।
জামায়াতের সাথে ঐক্য নিয়ে বিএনপিকে বিভিন্ন সময়ই সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। এখন বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ঐক্যের ভবিষ্যত কি?
বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী চার দলীয় জোট গঠন করে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দল দুটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
সেই জোটের সরকারে জামায়াতের শীর্ষ দু’জন নেতাকে মন্ত্রী করায় এ নিয়ে সমালোচনা হলেও তখন বিএনপি এসব সমালোচনাকে আমলে নেয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চার দলীয় জোট বাড়িয়ে ২০-দলীয় জোটে পরিণত করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল।
বিএনপির ভেতরেও জামায়াতের সাথে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে
এই জোট ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে লাগাতার অবরোধ হরতাল করেছে এবং এ বছরও প্রথম তিন মাসে তাদের লাগাতার একই কর্মসূচি ছিল। দুই দফার এই লাগাতার আন্দোলনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলাসহ সহিংসতা ।
পশ্চিমা অনেক দেশই জামায়াতের সাথে বিএনপির ঐক্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে। এখন দেশের ভিতরে সাবেক বিএনপি নেতা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ দলটির সমমনা অনেকে একই সমালোচনা করছেন।
তবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেছেন, তাদের দলের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে জামায়াতের সাথে ঐক্য নিয়ে।
বিএনপি নেতাদের অনেকে আবার বলেছেন, দেশের কিছু এলাকায় জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং সারাদেশেই দলটির সংগঠন এবং একটা ভোট ব্যাংক আছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটের রাজনীতি থেকেই বিএনপি জামায়াতের সাথে ঐক্য ধরে রাখছে।
জামায়াত প্রশ্নে বিএনপিতে দুটি ধারা
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, জামায়াতের সাথে ঐক্যের পক্ষে বিপক্ষে দু’টি ধারা সব সময়ই ছিল।
তবে এখন দু’টি ধারাই আবার সক্রিয় হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রহমান বলছিলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জামায়াতের সাথে ঐক্য বহাল রাখার পক্ষে বলেই তার ধারণা।
বিএনপি নেতাদেরও অনেকে বলেছেন, জামায়াতের সাথে ঐক্য প্রশ্নে বিএনপি আরও কৌশলী হতে পারে, তাদের মধ্যে এমন আলোচনাও রয়েছে।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং খুলনার একজন সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতের সাথে বিএনপির যে ঐক্য, সেই অবস্থান থেকে এখন বিএনপির সরে আসার সুযোগ নেই।
তবে বিএনপি নেতারা এটাও মনে করেন, যখন আন্দোলনে ফল না পেয়ে দলটিতে হতাশা রয়েছে, তখন জামায়াত ইস্যূ তাদের আরও বেকায়দায় ফেলছে।
সে জন্য কয়েকদিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা বলা হয়, জামায়াতে সাথে তাদের এ সম্পর্ক আদর্শিক কোন জোট নয়। এটা ভোটের জোট।

Saturday 13 June 2015

নতুন জীবনের প্রস্তুতি ছিটমহলের মানুষের

কুড়িগ্রাম দাশিয়ারছড়া ছিটমহলের একটি চায়ের দোকান। কর্ম-চাঞ্চল্যহীন এক স্থবির জীবন চিত্র। ছিটমহলের বেশিরভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষিকাজ।
তাই বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় তাদের কোন কাজ থাকে না। তবে সাম্প্রতিক এক ঘটনা বদলে দিয়েছে তাদের জীবন-গতি। চায়ের দোকানে বসে সেটা নিয়েই চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
ছিটমহলের বাসিন্দা মোজাফর হোসেন বলছিলেন “ বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পাইলে যেমন লাগে আমাদের তেমন লাগছে। আনন্দে চোখে পানি এসে যায়”।
সব নাগরিক সুবিধার প্রতীক্ষায় ছিটমহলের মানুষ
প্রায় দুহাজার একর আয়তনের এই দাশিয়ারছড়া ছিটমহলটি কুড়িগ্রামের ভিতরে থাকা সবচেয়ে বড় ছিটমহল। তবে কোনরকমের শিক্ষা, চিকিৎসা, বা কর্মসংস্থানের সুযোগ এখানে নেই।
সড়ক যোগাযোগের বেহাল দশা। এখানকার অনেক মানুষ ভুয়া ঠিকানা দিয়ে পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে। তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন চাকরিবাকরি করেছেন ।
তবে সে সবকিছু হচ্ছে ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলছিলেন তিনি ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এম.এ পাশ করেছেন।

ইবোলা সংক্রমণ: ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিশেষ মানসিক সেবা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ২০১৪ সালের মার্চে ইবোলা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে।
যারা এই অসুখ থেকে বেঁচে গেছেন আর যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তারা মানসিকভাবে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেন নি।
তাদের সহায়তার জন্য শুরু হয়েছে বিশেষ সেবা।

Friday 12 June 2015

প্রচ্ছদ বাংলাদেশ অপরাধ পুলিশকে চড় মারায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা আটক

রাজশাহীতে পুলিশের এক সদস্যকে চড় মারার অভিযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে নগরের মতিহার থানার পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে যুবলীগের কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
আটক নেতারা হলেন, রাজশাহী নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ওরফে ইয়ামিন ও মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এখলাছুর রহমান ওরফে সাদ্দাম।
নিরাপত্তার আশঙ্কায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রাকিব নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেদী হাসান ও এখলাছুর রহমান তাঁদের লোকজনকে নিয়ে রাকিবকে তুলে আনতে যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে অবস্থানরত পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান আমিনুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যকে চড় মারেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মেহেদী হাসান ও এখলাছুর রহমানকে আটক করে মতিহার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে মতিহার থানার উপপরিদর্শক সেলিম রেজার ভাষ্য, চড় মারার ঘটনা ঘটেনি। তবে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আটক দুই নেতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ঘটনা জানতে পেরে দুপুর একটার দিকে যুবলীগের কর্মী ও সমর্থকেরা বিনোদপুরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। তাঁরা প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সড়ক অবরোধকারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পাহাড়ের চূড়ায় নগ্ন হয়ে ছবি তোলার দোষ স্বীকার


http://adf.ly/1IkZ7K










মালয়েশিয়ায় একটি পাহাড়ের ওপর নগ্ন হয়ে ছবি তুলে জনসমক্ষে বিরক্তিকর আচরণের জন্যে অভিযুক্ত চারজন বিদেশি পর্যটক আদালতের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের কাছে এই মাউন্ট কিনাবালু পবিত্র একটি পর্বত বলে বিবেচিত।
এখন তারা অপেক্ষা করছেন তাদেরকে কি সাজা দেওয়া হয় সেটা জানার জন্যে।
এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ, দু’জন কানাডার এবং অন্যজন ডাচ নাগরিক।
এরাসহ আরো ছ’জনের একটি দল ওই পাহাড়ের ওপর উঠে ছবি তুলেছিলো। আর ৫ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের জন্যে দায়ী করা হয়েছিলো এই ছবি তোলার ঘটনাকে।
এই চারজনই কোটা কিনাবালু ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন তবে সরকারি কৌঁসুলিদের পক্ষ থেকে আনা আরো কিছু অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন।
কৌঁসুলির বলছেন, সূর্যোদয় উপভোগ করার জন্যে এই গ্রুপটি গত ৩০শে মে মাউন্ট কিনাবালুর চূড়ায় উঠেছিলো।
নেমে আসার আগে তারা একজন আরেকজনকে কাপড় খুলে নগ্ন হতে বলে। কিন্তু স্থানীয় গাইড তাতে আপত্তি জানায়। তাদেরকে বলা হয় যে এই আচরণ যথাযথ হবে না। তখন ওই গাইডকে ‘চুপ কর’, ‘জাহান্নামে যাও’ বলে গালাগাল করা হয়েছে বলে কৌঁসুলির অভিযোগ করেছেন।
http://adf.ly/1IkZ7K

চলে আসুন

কষ্টে রাত কাটাইতেছি,,,,,,,,,,,,
কি যে মশা!!! চিয়ারে শুয়ে আছি।।।।।